ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমার নেতৃত্বে সকাল সাড়ে সাতটায় আমরা অপরাজেয় বাংলার মুখ ঢেকে দিয়েছি। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’ এখন তো কাপড় দেখা যাচ্ছে না, জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘হয়তো প্রশাসন খুলে ফেলেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে জেনেছি অপরাজেয় বাংলার মুখে এখন কালো কাপড় নেই।’ কাপড় সরিয়ে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কে কাপড় সরিয়েছে, তাও আমরা জানি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলাভবনের সামনে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে—অপরাজেয় বাংলা। বিশিষ্ট ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণের দৃশ্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে। ফার্স্টএইড বক্স হাতে সেবিকা, সময়ের প্রয়োজনে রাইফেল কাঁধে তুলে নেওয়া গ্রামের টগবগে তরুণ এবং দু’হাতে রাইফেল ধরা আরেক শহুরে মুক্তিযোদ্ধা। নির্মাণের পর থেকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে যে কোনও অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদে সভা করে আসছে ছাত্রসমাজসহ বিভিন্ন সংগঠন।