নেদারল্যান্ডসে প্রথমবারের মতো শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

নেদারল্যান্ডসে প্রথমবারের মতো শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপননেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে প্রথমবারের মতো শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) হেগের জাউডারপার্কে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

সোমবার কর্মদিবস হওয়ার পরও এবং বৃষ্টিপাত ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে নেদারল্যান্ডস ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রী, দূতাবাসের কর্মকর্তারা, মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কর্মকর্তারা, স্থানীয় বাসিন্দা ও অন্যান্য অতিথিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।নেদারল্যান্ডসে প্রথমবারের মতো শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

উল্লেখ্য, দূতাবাসের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলে, গত অক্টোবরে হেগ মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষ শহরের ঐতিহ্যবাহী জাউদারপার্কে একটি জমি বরাদ্দ দেয়। বর্তমানে সেখানে শহীদ মিনার নির্মাণের নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে।

বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক শহীদ মিনারের জন্য জমি দেওয়ায় হেগ মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। হেগে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল শহীদ মিনার নির্মাণের পর তা রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে   সহযোগিতা করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ করেন।  

হেগের উপ-মেয়র রবিন বালদেবসিং বলেন, ‘বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হলেও এই স্মৃতিস্তম্ভটি (শহীদ মিনার) বিশ্বের সব ভাষার চিত্র তুলে ধরেছে। হেগ মিউনিসিপাল কর্তৃপক্ষ এই ঐতিহাসিক ঘটনার অংশ হতে পেরে আনন্দিত।’নেদারল্যান্ডসে প্রথমবারের মতো শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানবতা ও বহুভাষাবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশ দূতাবাস কয়েক বছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে। দূতাবাসের প্রচেষ্টার ফলে হেগ মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষ স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। নেদারল্যান্ডস ও ইউরোপে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দীর্ঘদিন ধরে এই শহীদ মিনারের অপেক্ষায় ছিলেন।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে দূতাবাস আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে, যেখানে আরও সাতটি দূতাবাসের শিল্পীরা অংশ নেবেন।