বিএসএমএমইউ’য়ের দশম তলায় ময়লার স্তূপ!

বিএসএমএমইউ’য়ের ১০ তলার একটি অংশে ফেলে রাখা ময়লা-অবর্জনা

পরিত্যক্ত মেডিক্যাল বর্জ্য, খাবারের প্যাকেট, আধাছেঁড়া পলিথিনের ব্যাগ, কাচের ভাঙা বোতল, খাবারের উচ্ছিষ্টসহ নানা ধরনের বর্জ্য স্তূপাকারে পড়ে রয়েছে। ময়লার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে চারদিকে। বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে এটাকে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ‘ভাগাড়’ বলেই মনে হবে। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, এ চিত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডি-ব্লকের ১০ তলা ভবনের একটি অংশের। এভাবে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। তাদের আশঙ্কা, এই ময়লা-আবর্জনা থেকে সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে। তবে বিএসএমএমইউ’য়ের পরিচালক বলছেন, ‘দ্রুত এই ময়লার স্তূপ সরিয়ে ফেলব।’

বিএসএমএমইউ’য়ের ডি-ব্লকের ভবনটি ১৭ তলার। এখানে কার্ডিয়াক, অ্যান্ডোক্রাইনোলজি, গ্যাস্ট্রো-অ্যান্টারোলজি, হেমাটোলজি, হেপাটোলজি, রিউমাটোলসহ বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। এ ভবনের ১০ তলার সিঁড়ির পাশের দেয়ালের বাইরের অংশে এই ময়লার স্তূপ পড়ে রয়েছে।

থাইরয়েড বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর এটেনডেন্ট মো. সাইদুল ইসলাম (২৬) এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘এভাবে কেউ একটা হাসপাতালে আবর্জনা ফেলে রাখে! এতে সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা জুনায়েদ হোসেন (৪৫) বলেন, ‘কোনও হাসপাতালে এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখাটা কোনোভাবেই যৌক্তিক না।’

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘কেমিক্যাল বর্জ্য থেকে বিস্ফোরণও ঘটতে পারে। আগুন লাগলে বর্জ্যের কারণে তা দ্রুত ছড়ায়। ফায়ার সার্ভিসের রুলস অনুযায়ী কোথাও বর্জ্য ফেলে রাখা উচিত না। গুড হাউস কিপিংকে আমরা গুরুত্ব দেই। এক্ষেত্রে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবার সচেতনতা জরুরি। যারা বর্জ্য ফেলছে তাদেরও।’

এ ব্যাপারে বিএসএমএমইউ’য়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘নিউক্লিয়ার মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে কাজ চলছে। ওখানকার ময়লা এখানে রেখেছে। আমি কালকে গিয়ে দেখবো। যদি মোটামুটি কাজ হয়ে যায়, তাহলে ময়লা সরিয়ে ফেলব।’