ঘরে আটকা পড়া শিশুকে উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস

শিশু উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের অভিযান

মা-বারার আদরের সন্তান মোক্তাদি মোস্তাফা। বয়স ২ বছর ৩ মাস। দুপুরে মা যখন রান্নাঘরে কাজ করছেন, তখন বড় ভাই আফ্ফানের সঙ্গে সে পাশের ঘরেই খেলা করছিল। খেলার ছলে এক পর্যায়ে শিশু মোস্তাফা ওই রুমের ভেতরে আটকা পড়ে যায়। ঘরের দরজা খুলতে না পেরে অনেকটা ভীত হয়ে কান্না শুরু করে শিশুটি।

বুধবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি রোডের ৬ তলা একটি বাড়ির ৪র্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উত্তরা স্টেশনের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ২টা ৪০ মিনিটে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে উত্তরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি রুমের ভেতরে শিশুটি কান্নাকাটি করছে। তারপর তাকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক যন্ত্র ‘হাইড্রোলিক ডোর ওপেনার’ ব্যবহার করে কৌশলে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেই।

শিমুটিকে উদ্ধারের পর মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হচ্ছে

তিনি আরও বলেন, ‘রুমের দরজায় থাকা ছিটকিনি ভেতর থেকে আটকে যায়। একারণে শিশুটি বের হওয়ার কোনও উপায় পচ্ছিল না। বাসায় বিদ্যুৎ ছিল,গ্যাস ছিল এবং শিশুটি আতঙ্কিত হয়ে যে কোনও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।’

শিশু মোস্তাফার মা ফেরদৌসী আসমত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘তখন আমি রান্নাঘরে কাজ করছিলাম। মোস্তাফা ওর বড় ভাই আফফানের সঙ্গে খেলা করছিল। কিছুক্ষণ পর ওর কান্নার শব্দ শুনতে পাই। গিয়ে দেখি ঘরের ভেতর থেকে দরজা লক হয়ে গেছে। পরে প্রতিবেশীদের খবর দিয়ে তারা এসে দরজা খোলার চেষ্টা করে। কিন্তু সম্ভব হয়নি। পরে থানায় খবর দেই। তারা এসে পরিস্থিতি দেখে ফায়ার সার্ভিসে বিষয়টি জানালে সেখান থেকে লোক এসে দরজা খুলে আমার সন্তান মোস্তাফাকে উদ্ধার করেন।’

জানা গেছে, উত্তরার ওই বাড়ির ৪র্থ তলায় ভাড়া থাকেন শিশু মোক্তাদিরের পরিবার। মা মিসেস ফেরদৌসী আসমত ইডেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং বাবা মমিনুল ইসলাম পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার।