উত্তরখানে জোড়া খুনের মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনকে যাবজ্জীবন

আদালত

রাজধানীর উত্তরখানে জোড়া খুনের মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইবুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃতুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন— কাওসার মোল্লা ও ফরহাদ গাজী। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলে—সুরুজ মিয়া ও সুপর্না। তাদের দুজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও  একবছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন,‘মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি দুজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন।’

এছাড়া যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামি সুপর্না মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।

বিচারক আবদুর রহমান সরদার রায় পড়তে গিয়ে বলেন,‘বর্তমান সমাজে প্রেম ঘটিত কারণে অপহরণ, অপহরণের পর খুন ও গুমের ঘটনা অহরহ ঘটেছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের অপরাধের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে লক্ষ্যে এই মামলায় আসামিদের উপযুক্ত বিচার হওয়া আবশ্যক।’

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি সুপর্নার সঙ্গে সুবজের প্রেম ছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুপর্নার ভাই ফরহাদ, তার বন্ধু কাউসার ও সুরুজকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম সবুজ ও জুয়েলকে ঘুমের ওষুদ মেশানো ফ্রুটিকা জুস খাওয়ায়। এরপর তাদের গলা কেটে হত্যা করে।

২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নিহত সবুজের চাচা মোতালেব হোসেন উত্তর খান থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১১ সালের ৩ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান (উপপরিদর্শক) চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ২০১২ সালের ১৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।