দুদক-এর নামে ভুয়া নোটিশ দিয়ে আর্থিক সুবিধা দাবি, সতর্কবাণী

দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর লোগো ও সিল ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুয়া নোটিশ দিয়ে আর্থিক সুবিধা দাবি করার অভিযোগ কয়েকটি চক্রের বিরুদ্ধে। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে দুদক।

বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, একাধিক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্যরা দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ই-মেইল ব্যবহার করে; এমনকি কমিশনের লোগো সম্বলিত ভুয়া নোটিশ বা পত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি বা পেশার ব্যক্তিদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা দাবি করছে। এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুদকের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে তা থেকে অব্যাহতির জন্য মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে চক্রের সদস্যরা।  

এ ব্যাপারে দুদুক উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনে কোনও একক ব্যক্তি বা কর্মকর্তার একক অভিপ্রায় অনুযায়ী কোনও অভিযোগ হতে কাউকে অব্যাহতি কিংবা কাউকে অভিযুক্ত করার আইনি সুযোগ নেই।

এছাড়া এ জাতীয় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সাক্ষী এবং আসামিদের সঙ্গে অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সকল প্রকার যোগাযোগ লিখিত পত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সাক্ষী এবং আসামিদের সঙ্গে দুদকের কর্মকর্তা কর্তৃক মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ই-মেইল বা ব্যক্তিগত যোগাযোগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ই-মেইল বা ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগপূর্বক দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিচয় দিয়ে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা দাবি করলে, বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী (টেলিফোন নম্বর-৯৩৫২৫৫২, মোবাইল নম্বর ০১৭১১-৬৪৪৬৭৫)-এর নিকট অবহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো হলো। কোনও প্রকার অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশন গ্রহণ করবে না।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ নিজ কক্ষে আয়োজিত এক জরুরি সভায় জানান, প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যে সকল সংস্থায় চিঠি দেওয়া হয়েছে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। এ জাতীয় কর্মকাণ্ড দুর্নীতি দমন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা মাত্র। তাই এদের আইনের আওতায় আনার জন্য আপনাদেরকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে হবে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে ভুয়া নোটিশ প্রদানকারী প্রতারক চক্রের একাধিক সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।