মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের কবি সুফিয়া কামাল হল শাখার সভাপতি ইফাত জাহান এশার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রীদের মারধর করে বলে অভিযোগ উঠে।
ব্রিফিংয়ে ভিসি বলেন, ‘দুঃখজনক। এটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমি তাৎক্ষণিক প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রক্টরের টিমকে ওখানে পাঠিয়েছি। হল প্রশাসনকে বলেছি, মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। তারপর আমি বিস্তারিত জেনেছি। আমি অবহিত হয়েছি— হলের ইফাত জাহান এশা আরেকটি মেয়েকে মেরেছে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। যার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। হল প্রশাসনকে বলেছি, দোষী মেয়েটিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে। আগামীকাল এর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। প্রকৃত ঘটনা জানতে একটি তদন্ত কমিটিও করে দেবো। কেউ যেন সীমালঙ্ঘন না করে। আইনহীনতা, বিচারহীনতা চলতে পারে না। সে যেই হোক, বিচার হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাবির ছাত্রী হলে মধ্যরাতে মারধরের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেত্রীকে বহিষ্কার
ইফাত জাহান এশাকে এর আগেও বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং পুনরায় বহিষ্কারাদেশ প্রতাহ্যার করা হয়। এবারও কি সেরকম হবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ভিসি বলেন, ‘আমরা সজাগ থাকবো, সেরকম যাতে না হয়। রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সোয়া ৩টায় ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন, ইফাত জাহান এশাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার আগে এ ঘটনার জেরে ইফাত জাহান এশাকে ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।