ঘুষের টাকাসহ ধরা পড়া নৌ অধিদফতরের প্রকৌশলী নাজমুল হক কারাগারে

 




আটক হওয়ার পর নাজমুল হকঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়া নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ড. এস এম নাজমুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুভ। শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) এ নির্দেশ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১২এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার সেগুন হোটেল থেকে নাজমুল হককে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন একটি দল।

শুক্রবার নাজমুল হককে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন আদালত।

নাজমুল হকের পক্ষে আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জামিন শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে আবুল হাসান জামিনের বিরোধিতা করেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইনসের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামের যাত্রীবাহী নৌযানের রিসিভ নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তিপত্রের জন্য নাজমুল হকের কাছে গেলে তিনি ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিষয়টি দুদককে অবহিত করেন। এরপর দুদক সব বিধি-বিধান অনুসরণ করে কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারে নেতৃত্বে ফাঁদ মামলা পরিচালনার অনুমতি দেয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সেগুন হোটেলে বসে ঘুষের টাকার কিস্তি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা নিচ্ছিলেন, তখন ওঁত পেতে থাকা দুদকের বিশেষ দলের সদস্যরা ঘুষের টাকাসহ তাকে হাতেনাতে আটক করে।

রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এর সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।