সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুস সাত্তার দুলাল এই তথ্য জানান।
আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, ‘মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।’
পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও মা স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানের ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডের রায় করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০১৭ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট তার দণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
ওই ঘটনার মামলায় পুলিশ গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমির বয়স ১৬ বছরের নিচে হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ঐশীর মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দ্রুত সম্পন্ন হলেও সুমির অংশের মামলা শিশু আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়।
গত ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তাদের মেয়ে ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে। পরবর্তীতে সে আদালতে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এরপর থেকে ঐশী কারাগারে রয়েছে। তবে শিশু হওয়ায় সুমি জামিনে রয়েছে।