সেই শিশুটি মারা গেছে





মারা গেছে সেই নবজাতকটিআজিমপুর কবরস্থান থেকে বেঁচে আসা সেই শিশুটি মারা গেছে। সোমবার (২৩ এপ্রিল) রাত দেড়টায় শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। শিশু হাসপাতালের গণসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল হাকিম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে সোমবার ঢাকা শিশু হাসপাতালের প্রফেসর ডাক্তার মো. আব্দুল আজিজ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শিশুটির বাঁচার আশা খুব ক্ষীণ। আমরা এখন কোনও অঘটন বা মিরাকল-এর অপেক্ষা করছি।’
ডাক্তার মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘বাঁচার ক্ষেত্রে শিশুটির অনেক ঝুঁকি রয়েছে। তার ওজনও কম, মাত্র এক কেজি। সে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছে না। তার শরীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকছে না। এগুলো ঠিক রাখার জন্য তাকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে শিশুটিকে বাঁচানো। এজন্য সব ধরনের চেষ্টা করছি। তাকে হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউতে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে কবর দেওয়ার জন্য তাকে আজিমপুর কবরস্থানে নেওয়া হয়। গোসল করানোর জন্য শিশুটিকে একটি কক্ষে নিয়ে যান আজিমপুর কবরস্থানের দায়িত্বরত ইয়াসমিন বেগম নামে এক নারী। এ সময় নবজাতকের মামা পুলিশ কনস্টেবল শরিফুল ইসলাম অফিস কক্ষে লাশ হিসেবে তার ভাগ্নির নিবন্ধন করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় গোসলখানা থেকে ইয়াসমিন খবর দেন শিশুটি নিশ্বাস নিচ্ছে। নড়েচড়ে উঠেছে। তখন শিশুটির মামা সেখানে দৌড়ে যান। এরপর শিশুটিকে আজিমপুর মাতৃসদনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে আগারগাঁওয়ে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।
আজিমপুর মাতৃসদনের সুপার ডা. ইসরাত জাহান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের এখানে শিশু ইউনিটে তার প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে। তবে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় আমরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে পরিবারের সঙ্গে শিশু হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘পরিবার আমাদের জানিয়েছিল শিশুটিকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করতে নেওয়া হয়েছিল।’
আজিমপুর কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘কবরস্থানের লাশ নিবন্ধনের রেজিস্টারে শিশুটির নাম লেখা হয়েছে মীম। ঠিকানা লেখা হয় ধামরাইয়ের শ্রীরামপুরে। তার বাবার নাম মিনহাজউদ্দিন, মা শারমিন আক্তার ।’

আরও পড়ুন: 

‘শিশুটির বাঁচার আশা খুব ক্ষীণ’

শিশুটির মা শারমীন কিনা আমরা তদন্ত করে দেখছি : ঢামেক পরিচালক

কবরস্থান থেকে ‘মৃত’ শিশু জীবিত ফেরত!