বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) বিকালের পর থেকেই গাবতলী বাস টার্মিনাল ফিরে পায় তার ঈদের সময়কার চিরচেনা রূপ। সকাল থেকে সারাদিন যাত্রীর আনাগোনা কম থাকলেও বিকালের পর থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। দক্ষিণবঙ্গের গাড়ির টিকিট থাকলেও উত্তরবঙ্গের গাড়ির টিকিট মিলছে না এই শেষ সময়ে। তাই যে করেই হোক গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন বাসের ছাদ। অপেক্ষাকৃত কম ভাড়া এবং সময়মতো যাওয়ার তাগিদে ছাদে চড়েই যাচ্ছেন অনেকে।
বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ হলেও মানছেন না কিছু বাসের কর্মচারী। গোবিন্দগঞ্জ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজারের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এমনকি তার কাছে নাম জানতে চাওয়া হলেও তিনি তা বলতে রাজি হননি। এমনকি বাসের হেল্পারের কাছেও মেলেনি সদুত্তর। অথচ ছাদে যাত্রী বহন করার তদারকির কাজে তিনি নিজেই নিয়োজিত।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাসের ছাদে যাত্রী বহন করা নিষিদ্ধ। তবে গাবতলী আমাদের সংগঠনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ওইখানের ইউনিয়ন আলাদা।
গাবতলী বাস টার্মিনালে দায়িত্বরত বিআরটিএর ভিজিলেন্স টিমের সদস্যরা জানান, তারা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাকে ছবিসহ লিখিত অভিযোগ দিলে আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো। ইতোমধ্যে আমরা অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। অনেকে টিকিটের দাম নির্দিষ্ট ভাড়া থেকে বেশি রাখছিল। আমাদের কাছে যাত্রীরা অভিযোগ দেওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।