নিজের প্রকাশনা ও ভার্চুয়াল লেকচারের মাধ্যমে উগ্রবাদ ছড়াচ্ছিল ইসহাক

গ্রেফতার ইসহাক খান

মানিকগঞ্জের সিংগাইর এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক খানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নিজের প্রতিষ্ঠান ‘খান প্রকাশনী’ থেকে উগ্রবাদী বই প্রকাশ, বিতরণ এবং ইউটিউবে লেকচার ও ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে সে উগ্রবাদ প্রচার করে আসছিল বলে দাবি করেছেন র‌্যাব-৩ কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সকাল ৮ টায় মানিকগঞ্জে সিংগাইরের কাসিমপুর ইরতা গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে তাকে।  

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, আনসার আল ইসলামের ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ মুহাম্মদ জসীমুদ্দীন রাহমানীর ছাত্র ছিল ইসহাক। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় পড়ার সময় আনসার আল ইসলামে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনটির সদস্য পদ পায় সে।

ইসহাকের পাশাপাশি তার ভাই মো.আশরাফ আলীও আনসার আল  ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়া তার আরেক ভাই রাকিব হিযবুত তাহরীরের সদস্য এবং বর্তমানে জেলে রয়েছে বলে জানান র‌্যাব-৩ সিপিসি-৩ এর এডিশনাল এসপি বিনা রানী।

গ্রেফতার ইসহাক খানের কাছ থেকে উদ্ধার করা তার প্রকাশনী থেকে বের হওয়া বই

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ইসহাক ও তার ভাইয়েরা উগ্রবাদে জড়িত থাকলেও তার বাবা তা সমর্থন করেন না। বরাবরই তিনি এসব উগ্রবাদের বিরোধিতা করছিলেন।

ইসহাক ‘খান প্রকাশনী’ ও ‘মাকবুল প্রকাশনী’ নামে দুটি প্রকাশনী থেকে জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন বই প্রকাশ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় সরবরাহ করতো বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তারা।

এডিশনার এসপি বিনা রানী বলেন, ইউটিউবে এমডি ইসহাক খান আইডি দিয়ে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী লেকচারের অডিও ক্লিপ আপলোড করা হয়েছে। লাইট হাউজ ডট কম নামে একটি ব্লগ পেজও রয়েছে তার। এগুলোর মাধ্যমে সে তার উগ্রবাদী মতবাদ প্রচারণা করে আসছিল। সে গাজওয়াতুল হাদিসে বিশ্বাস করে। মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মারকাজুল কোরআন ওয়াল হিকমাহ নামে সে একটি মাদ্রাসাও প্রতিষ্ঠা করেছে। মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্রদের মাঝে সে উগ্রবাদ প্রচার করে আসিল। তার বাসাতেই আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন সদস্যদের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।

গ্রেফতারকৃত ইসহাককে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।