অ্যাডভোকেট মুনির শরিফের মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

সুপ্রিম কোর্টের সদ্য প্রয়াত আইনজীবী শাহ মো. মুনির শরিফের মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুলা) আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।munir

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘অর্থ ঋণের মামলার ক্ষেত্রে অ্যাডভোকেট শাহ মো.  মুনির শরিফ খুব অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের কাছে তথা বিচারপ্রার্থীদের কাছে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি অনেক মামলায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন, যা সবার হৃদয়ে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। আইন অঙ্গনের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র গত ৮ জুলাই আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। আমরা সেই মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। একইসঙ্গে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’

প্রধান বিচারপতি ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ আইনজীবী শাহ মো. মুনির শরিফের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন। এ সময় অনেকেই অর্থ ঋণের মামলায় তার পারদর্শীতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ডুলার সম্পাদক শেখ আলী আহমেদ খোকনের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী একেএম ফয়েজ।

প্রয়াত শাহ মো. মুনির শরিফকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ইমান আলী, মির্জা হোসেইন হায়দার, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার।

গত ৮ জুলাই সকাল সাড়ে আটটায় আইনজীবী শাহ মো. মুনির শরিফ রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদারের মেয়ের জামাই।

তিনি ১৯৭১ সালে ভোলা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে অনার্স শেষ করে আইন পেশায় যুক্ত হন। সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্যপদ লাভ করেন ২০০০ সালে তিনি। ২০০৮ সালে পান আপিল বিভাগের সনদ। এরপর ২০১২-১৩ সেশনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন মুনির।