পুলিশের তাড়ায় কামরাঙ্গীরচরে মুদি দোকানির মৃত্যুর অভিযোগ

কামরাঙ্গীর চররাজধানীর কামরাঙ্গীরচর পূর্ব রসুলপুর এলাকায় ভবনের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে কালু মিয়া (৩৫) নামে এক মুদি দোকানির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ পুলিশের তাড়ায় ভবন থেকে পড়ে যায় কালু মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) বিকালের দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় কালুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। তখন পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিকাল পোনে ৬ দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মা রহিমা বেগম জানান, ছেলেদের বাবা আমিন মিয়া অনেক আগেই মারা গেলে বসত বাড়ি চার ছেলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর এক ছেলে বাবরের স্ত্রী রুবিনা ও কালুর স্ত্রী রোজিনার সাথে পারিবারিক কলহ হয়। একপর্যায়ে বাবর সকালে গিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার প্রেক্ষিতেই ওই বাড়িতে ঘটনা তদন্তে যায় পুলিশ সদস্যরা।

নিহত কালুর স্ত্রী রোজিনার অভিযোগ করেন পুলিশের কারনেই তার স্বামীর মৃত‍্যু হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কামরাঙ্গীচর থানার উপপরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘দুই ভাই কালু ও বাবরের পরিবারের মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে বুধবার ঝগড়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বাবরের স্ত্রী রুবিনার অভিযোগের কারনে বিষয়টি তদন্তের জন্য বিকালে তাদের বাসায় যাই। সেখানে কালুকে তার দোকানে পেয়ে আটক করি এবং বলি যার যা অভিযোগ রয়েছে সকলে থানায় চলো। পরে কালু  খালি গায়ে থাকায়, তাকে গেঞ্জি পরতে বললে, সে দোকানের ভিতর সুরঙ্গ পথ দিয়ে ঐ বাসার তৃতীয় তলায় চলে যায়। উপরে উঠে বলতে থাকে আমাকে ধরতে আসলে আমি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করব। এরপর স্বজনদের উপস্থিতে উপর থেকে সে নিচে পড়ে যায়। পরে ঢামেক হাসপাতাল নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।’    

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ীর উপপরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া।