দেশে তামাকের ব্যবহার কমেছে ৮ শতাংশ

তামাক পণ্যস্বল্প পরিসরে বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার ৮ শতাংশ কমেছে। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে’র (গেটস) ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে সার্বিকভাবে বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ছিল ৪৩.৩ শতাংশ। আর ২০১৭ সালে এ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এই জরিপ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল হক খান এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জরিপে বলা হয়, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের তামাক সেবনের হার ছিল ৫৮ শতাংশ আর নারীদের ২৮.৭ শতাংশ। ২০১৭ সালে এ হার কমে পুরুষদের ক্ষেত্রে দাঁড়িয়েছে ৪৬ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ২৫.২ শতাংশ।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৭ সালে নিজ বাড়িতে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৩৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী। ২০০৯ সালে এ হার ছিল ৫৪.৯ শতাংশ। ২০১৭ সালে কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৪২.৭ শতাংশ, ২০০৯ সালে ছিল ৬৩ শতাংশ। গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ২৩.৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী। ২০০৯ সালে এই হার ছিল ৩৭.৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, যদি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সহজ তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয় এবং তা যথাযথভাবে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর আরোপ করা হয়, তাহলে তামাকের ব্যবহার আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, গেটস হচ্ছে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর ওপর পরিচালিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জরিপ—যা তামাক ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি পর্যবেক্ষণের একটি মানদণ্ড। সাধারণত ৫ বছর পর পর এই জরিপ পরিচালিত হয়।