শুরু হলো ডায়াবেটিস রোগীদের ডিজিটাল নিবন্ধন





Novo Nordisk E- Ragister

দেশব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীদের তথ্যউপাত্ত সংগ্রহে ডিজিটাল নিবন্ধন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে এই ডিজিটাল নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৬৯ লাখ (৬.৯ মিলিয়ন) ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। ২০৪৫ সাল নাগাদ হবে এককোটি ৩৭ লাখ (১৩.৭ মিলিয়ন), যা বিশ্বব্যাপী নবম অবস্থানে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে। কেবল ২০১৭ সালেই দেশে ৯৭ হাজার ৬৪১ জনের মৃত্যুর কারণ ছিল ডায়াবেটিস। এ পটভূমিতে ডায়াবেটিস রোগীদের তথ্যউপাত্ত সংগ্রহের লক্ষ্যে ডিজিটাল নিবন্ধন শুরু করা হলো।
ডেনমার্কের বহুজাতিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নভো নরডিস্কের সহযোগিতায় এই ডিজিটাল নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি শেষ করবে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাডাসের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও নভো নরডিস্কের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রেডেরিক কিয়ার সমঝোতা চুক্তি সই করেন।
ডিজিটাল নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বাংলাদেশে ডায়াবেটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপের সূচনা হলো। আমি বিশ্বাস করি, এ উদ্যোগটি মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। আমি বাডাস ও নভো নরডিস্ককে বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল নিবন্ধনের ফলে রোগীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক চিত্র তুলে ধরা সম্ভব হবে। এতে করে সমস্যাগুলির পেছনে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া যাবে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অবদান রাখবে এবং যেকোনও ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সহযোগিতা করবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাডাসের সভাপতি অধ্যাপক আজাদ খান বলেন, ‘বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সঠিক কোনও সংখ্যা বা এ সংক্রান্ত জরিপের উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। দেশজুড়ে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগীর সংখ্যাই শুধু নয়, একটা পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি।’
প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে এসডিজি অর্জনের বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে জাতিসংঘ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের তালিকায় ডায়াবেটিসকে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগের কারণে অকাল মৃত্যুর হার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নভো নরডিস্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনান্দ শেঠি। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশনের পরিচালক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিল কাপুর, বাডাসের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক জাফর আহমেদ লতিফ ও নভো নরডিস্কের বিপণন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ সাইফুলসহ বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।