হঠাৎ বিএসটিআই কার্যালয়ে দুদক

 দুদক কর্মকর্তাদের বিএসটিআই পরিদর্শন

বিভিন্ন ভোজ্যতেলের মান সঠিকভাবে নিরীক্ষিত হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট (বিএসটিআই)- এর প্রধান কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের  সহকারী পরিচালক নারগিস সুলতানার নেতৃত্বে পুলিশসহ ৬ সদস্যের একটি টিম এ পরিদর্শনে অংশ নেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তার প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, দুদক দল বিভিন্ন নামকরা ভোজ্যতেল কোম্পানির তেলের ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট সংগ্রহ করে। অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট যাচাই করতে গিয়ে লক্ষ্য করে যে কিছু ফ্রুট সিরাপে ক্ষতিকারক বেনজয়িক এসিডের মাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি পরিমাণে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দুদক টিম বিএসটিআই-এর উপ-পরিচালক (প্রশাসন)-কে পরামর্শ দেয়।

অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‘প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন সৃষ্টি এবং নাগরিক সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে দুদক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে, এর উদ্দেশ্য দুর্নীতি প্রতিরোধ ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা।’

একইদিনে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে রাজউকের নিয়ম অমান্য করে বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক। সহকারী পরিচালক মো. ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে রাজউকের অথরাইজড অফিসারের উপস্থিতিতে পুলিশসহ ৯ সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে রাজউকের নিয়ম অমান্য করে বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক

দুদক টিম সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারে, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়িটি রাজউকের নিয়ম ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে। নকশায় বাড়িটির সামনে ৬ ফুট এবং পেছনে ৫ ফুট জায়গা ছাড়ার কথা থাকলেও কোনও জায়গা না ছেড়েই বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। এ ঘটনা জানতে পেরে দুদকের নির্দেশে রাজউকের অথরাইজড অফিসার বাড়িটির নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন এবং বাড়ির মালিককে তিন দিনের মধ্যে বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার নোটিশ দেন।