ফেসবুকে একটি ইভেন্টের মাধ্যমে ‘সে নো টু হাঙ্গার’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে গত ১ অক্টোবর একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে এ সংগঠনটি। খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুধার্ত মানুষের খাবার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ব খাদ্য দিবসকে সামনে রেখে প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন এ ক্যাম্পেইন শুরু করে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যাক্তিরাও এই ক্যাম্পেইনে যোগ দেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ভাসমান মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে রাজধানীর সোনারগাঁও সিগন্যালে প্রায় ১০ হাজার লিফলেটও বিতরণ করা হয়। সে সময় রাস্তায় গাড়ি দাঁড়ালেই স্বেচ্ছাসেবকরা ছুটে গিয়ে খাদ্য অপচয় রোধে নাগরিকের দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করেন।
ক্যাম্পেইনের আয়োজক এবং প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইকরাম উদ্দিন আবির বলেন, একটি দেশের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য অন্যতম। খাবারের অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংগঠন- এফএ'র মতে, প্রতি বছর সারাবিশ্বে ১৩০ কোটি টন খাবার অপচয় হচ্ছে। যা দিয়ে প্রায় ৮৫ কোটি মানুষের খাবার নিশ্চিত করা সম্ভব। ইকরাম উদ্দিন আরও বলেন, আমরা শুধু একদিনের জন্য কাজ করে সবার নজড়ে আসতে চাইনি। খাদ্য অপচয় রোধে প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন ৩ বছর ধরে কাজ করে আসছে। বিয়ে কিংবা জন্মদিন অথবা যে কোনও অনুষ্ঠানে বেঁচে যাওয়া খাবার আমরা ক্ষুধার্তদের মাঝে বিতরণ করে থাকি।
সেমিনারে বক্তারা খাদ্য অপচয়ের কারণ ও সমাধান নিয়ে কথা বলেন। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ‘আমরাই বাংলাদেশ’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরিফ আর হোসাইন, নাগরিক টিভির সিইও আবদুন নূর তুষার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, যেকোনও অনুষ্ঠানে খাবার বেঁচে গেলে ০১৮৪২০০২০২৩ নাম্বারে ফোন দিলেই প্রচেষ্টা ফুড ব্যাংকিং'-এর স্বেচ্ছাসেবকরা চলে যায় সেই স্থানে। সেখানে গিয়ে খাবার প্যাকিং করে ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে পৌছে দেয় তারা। খাদ্য অপচয় রোধ এবং ক্ষুধার্ত মানুষের খাবার নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টা তাদের এই সেবাটি চালু থাকে।