ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে শেয়ার

ওবায়দুল কাদেরের উদ্যোগে মুক্তি পেলেন সেই রুমি

ওবায়দুল কাদের (ফাইল ফটো)আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া রুমি আক্তার (৪০) গত বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) মুক্তি পেয়েছেন। রুমি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ভালুকা গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন সরকারের মেয়ে।
জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মজিবর রহমান সোমবার (১৫ অক্টোবর) রাতে রুমির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঝিনাইগাতী পুলিশ রাতেই রুমি আক্তারকে গ্রেফতার করে। পরদিন আদালতে হাজির করে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। তবে খোদ ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে গত বৃহস্পতিবার মুক্তি পান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার পর খোঁজ নিয়ে দেখলাম, মেয়েটি আমার ছবি বিকৃত করেনি। অন্য কারও ফেসবুক পেজ থেকে তিনি শুধুমাত্র শেয়ার করেছেন। কেউ যাতে বিনা অপরাধে হয়রানি না হয় বা শাস্তি না পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য। কোনও নিরপরাধ লোক এ আইনে শাস্তি পাবে না। অপরাধী যে তার উপযুক্ত শাস্তি হবেই। কেউ যেন এই আইনের অপপ্রয়োগ করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে সবাইকে।
সম্প্রতি কে বা কারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের একটি ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ওই ছবিটা গত সোমবার (১৫ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রুমি আক্তার (৪০)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মজিবর রহমান সোমবার রাতেই রুমির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঝিনাইগাতী পুলিশ রাতেই রুমি আক্তারকে গ্রেফতার করে। পরদিন আদালতে হাজির করে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।
বিষয়টি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নজরে এলে ঘটনাটি তিনি খতিয়ে দেখেন। এ অপপ্রচারে রুমিকে নির্দোষ মনে হয় তার। সঙ্গে সঙ্গে তিনি শেরপুর পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন এবং মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। পুলিশ দ্রুত মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে বৃহস্পতিবার মুক্তি পান রুমি।