শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বছরের প্রথম দিন প্রায় ৩৬ কোটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের আগেই সব বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ কোটি বই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে প্রায় সাড়ে তিনগুণ শিক্ষার্থী বেড়েছে। এ জন্য আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছি। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মিলিয়ে ৩৩ হাজার ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।’
কোচিং বাণিজ্য বন্ধে আইনের প্রয়োগ প্রয়োজন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কোচিং বন্ধে আমাদের নিজস্ব কোনও ব্যবস্থা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হয়। আইন প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া অপরাধীরা কোর্টে গিয়ে ছাড়া পায়। শিক্ষা আইন হলে কোচিং পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।’
কোচিং ছাড়াই মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্কুলে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী করে তুলতে আমরা ১৫ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। শিক্ষার্থীরা যেন কোচিংয়ে না যায়, সে জন্য অভিভাবকদের উপলব্ধি করতে হবে।’
নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘যোগ্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই এমপিও দেওয়া হবে। তবে তা হবে পর্যায়ক্রমে। প্রতিবছরই নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’
নিবন্ধিত শিক্ষক জট সমাধানের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে পদ্ধতিটা ভালো। মামলার কারণে সমস্যা হচ্ছে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
মতবিনিময় সভায় সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মল্লিক, সহ-সভাপতি মোর্শেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম আববাস, যুগ্ম সম্পাদক শারমিন নিরা, অর্থ সম্পাদক জুবায়ের আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দিনার সুলতানা, সংস্কৃতি ও কল্যাণ সম্পাদক মাহবুব কবির চপল, কার্যকরী কমিটির সদস্য বিভাষ বাড়ই, রাকিব উদ্দিন, মাসুদ উল হকসহ সংগঠনের ২০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।