আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম. আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন মো. আনিসুল হাসান ও মো. শাহীনুজ্জামান।
এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট এম. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রওশন আরার দুটি কিডনি অপসারণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। এদিকে, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) কর্তৃপক্ষকে ওই দুই ডাক্তারের সনদ বাতিলপূর্বক তাদের চিকিৎসা পেশা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত।’
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এরআগে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক রফিক শিকদারের মা রওশন আরার অস্ত্রোপচারের পর তার ভালো কিডনিটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলা হয়।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি ও মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করলেও বিষয়টি নিয়ে সঠিক তদন্ত না হলে আইনি সহায়তা নেওয়ার কথা জানান রফিক শিকদার।
তবে, এরই মধ্যে ১ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন দুই কিডনি হারানো রওশন আরা মারা যান। পরে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক হাবিবুর রহমান দুলাল ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপসহ প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
অ্যাডভোকেট এম. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এখন এই রুলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি হবে। সে শুনানিতে চিকিৎসকদের অবহেলার কারণ উঠে আসবে।’