চিফ হুইপের ঋণ পুনঃতফসিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত

সুপ্রিম কোর্ট

দশম জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া ২৭ কোটি টাকা ঋণের সুদ মওকুফ ও ঋণের সর্বশেষ পুনঃতফসিল স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। এর ফলে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

একইসঙ্গে মেসার্স পটুয়াখালী জুট মিলের ঋণ বারবার পুনঃতফসিল করার ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা মানতে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও এম মাইনুল ইসলাম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

পরে আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ ও নীতি বিভাগ (ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট-বিআরপিডি)-এর ১৫তম সার্কুলার অনুযায়ী, ঋণ তিন বারের বেশি পুনঃতফসিল করা যায় না। কিন্তু মেসার্স পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেডের নামে আ স ম ফিরোজের নেওয়া ঋণ সোনালী ব্যাংক ১৯৯৪ সাল থেকে এবছর পর্যন্ত মোট নয় বার রিসিডিউল (পুনঃতফসিল) করেছে। সর্বশেষ নয় বারের মতো রিসিডিউল দেয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক এটির অনুমোদনও দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তটিই স্থগিত করে দিয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।’

এ আদেশের ফলে আ ফ ম ফিরোজ এখন ঋণ খেলাপি। আর আইন অনুযায়ী ঋণ খেলাপি ব্যক্তি তো নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। তাই তিনিও এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানান আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম।

এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক রিটটি দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।