প্রধানমন্ত্রীকে নিবেদিত দ্বিভাষিক কাব্যগ্রন্থের ৭১ কবিকে সংবর্ধনা

47578258_300109223942745_5597669222344818688_nপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিবেদিত ৭১ কবির দ্বিভাষিক কাব্যগ্রন্থ ‘পিস অ্যান্ড হারমোনি’র ৭১ জন কবিকে সংবর্ধনা দেওয়া হলো। মুক্তিযুদ্ধের ৪৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী উৎসবের শেষ দিনে ছিল এই আয়োজন। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ধানমন্ডির রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র মিলনায়তন হয়ে ওঠে কবিদের মিলনমেলা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, সাবেক সচিব কবি আজিজুর রহমান আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সচিব শামসুন নাহার চাঁপা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা। সভাপতিত্ব করেন উৎসব আয়োজক প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ।
অভিনেত্রী শমী কায়সারের আবৃত্তি ও তার মা কবি-অধ্যাপক পান্না কায়সারের কবিতার সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের প্রভাষক মনিরা পারভীন হ্যাপী। কবি আসলাম সানীর গীতিকবিতার সংগীতায়নে অডিও-ভিজ্যুয়ালসহ গ্রন্থের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘পিস অ্যান্ড হারমোনি’ শিরোনামের একটি কাব্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
কথা-কবিতা-আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন কবি নূরুল হুদা, কবি মিনার মনসুর, কবি হালিম আজাদ, কবি আখতার হুসেন, কবি আসলাম সানী, কবি-শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, কবি বদরুল হায়দার, কবি আনিস আহামেদ, কবি শাকিরা পারভীন, কবি রাসেল আশেকী, কবি প্রত্যয় জসীম, কবি-সংবাদ উপস্থাপক ফারজানা করি, কবি মেমোরি, কবি শারমীন জাহান, দিনার সুলতানা বিন্তী, কবি কাজী মোহিনী ইসলাম, কবি আয়েশা জেবিন, কবি শরাফত হোসেন, গ্রন্থের অনুবাদক ও সংকলক কবি আনিস মুহম্মদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবরীন সাকা মীম।
৭১ কবির অন্যতম কবি মোশাররফ হোসেন ভূঁঞার (ডিআইজি) মৃত্যুর খবর পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে অনুষ্ঠানে। মরহুমের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
গত ২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্ট আর রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের সপ্তাহব্যাপী উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ ও সাম্প্রদায়িক বিষক্ষতের মূলোৎপাটন চাই।’ এই আয়োজনে রুশ ফেডারেশন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক আলেকজান্ডার পি. ডেমিনকে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে সংবর্ধনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সাংস্কৃতিক আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের ছবি ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনসহ বুলবুল ললিতকলা একাডেমির শিল্পীরা তিনটি নৃত্যনাট্য পরিবেশন করেন।