তাবলিগ নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ সা’দ অনুসারীদের





৩৩৩তাবলিগ জামাত নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মাওলানা সা’দের অনুসারীরা। একই সঙ্গে সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সা’দ অনুসারী তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা আশরাফ আলী এসব দাবি প্রসঙ্গে বলেন, ‘১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলিগের উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী মাঠের পুরো নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে নিতে হবে। নির্বাচনের পর উভয়পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে টঙ্গী মাঠ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কাকরাইল মসজিদে উভয় পক্ষকে অবস্থান ও ব্যবহার সমতা নিশ্চিত করতে হবে। একপক্ষ কাকরাইলে থাকলে অন্য পক্ষকে টঙ্গীর ময়দান পরিচালনার ও ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন মসজিদে বা এলাকায় একপক্ষ অন্য পক্ষকে তাবলিগের কাজে বাধা দিতে পারবে না। বাধা দিলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে তাবলিগের কাজে বাধা দেওয়া বা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা যাবে না। দারুল উলুম দেওবন্দ অধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাসেম নোমানী এবং শিক্ষক ও পরিচালক হযরত মাওলানা আরশাদ মাদানী উভয়ই বলেছেন, দারুল উলুম দেওবন্দ তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও পক্ষে কথা বলবে না। আমরা চাই, আমাদের দেশের আলেমরাও কথায় ও কাজে দারুল উলুম দেওবন্দের সঙ্গে ঐক্যমত্য পোষণ করেন। বিদেশি মেহমানদের নিরাপত্তা দিতে হবে। বাংলাদেশে তাবলিগ রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে।’
সংকট সমাধান প্রসঙ্গে মাওলানা আশরাফ আলী আরও বলেন, ‘দুই পক্ষকে পৃথকভাবে কাজের সুযোগ থাকা ছাড়া এ মুহূর্তে সমাধান দেখছি না। তারা (সা’দবিরোধীরা) তাদের মতো কাজ করবে, আমরা আমাদের মতো কাজ করবো।’
বিদেশি মেহমানদের হেনস্থার অভিযোগ করে মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার ১৩ জন তাবলিগের সাথী কাকরাইলে রাখা তাদের পাসপোর্ট, ডলার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র আনতে গেলে তাদের হেনস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করতে রমনা থানায় গেলেও থানা অভিযোগ গ্রহণ করেনি। এসব কারণে মেহমানরা ঢাকার ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত লিখে অভিযোগ করেন। এতে করে দেশের সম্মান ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা আব্দুল্লাহ মনছুর, মাওলানা সাইফুল্লাহ, মাওলানা আকরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।