ভিন্ন অবয়বে স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্থান ঘটেছে : ঢাবি উপাচার্য

১২

এবছর ভিন্ন অবয়বে স্বাধীনতা বিরোধীদের উত্থান ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

এসময় উপাচার্য বলেন, ‘এবছর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। কেননা এবছর বিজয়ের মাসে আমাদের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং শহীদ পরিবারের সদস্য তারা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছেন যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ছিল, তারাই এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। যারা পাকিস্তানের দোসর ছিল। তারা এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এটা যেন পুরোনো বোতলে নতুন মদ। এবছর ভিন্ন অবয়বে, ভিন্ন ছত্রছায়ায় তাদের উত্থান ঘটেছে। আমাদের নতুন প্রজম্ম এ সকল দোসরদের উত্থানের অপচেষ্টাকে প্রতিহত করবে।’   

তিনি আরও বলেন, ‘এদেশকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা অনেক থেকেই করেছিলেন পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের প্রধান রাও ফরমান আলী। তিনি জানতেন বাঙালিদের মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছেন এসকল বুদ্ধিজীবীরা। এজন্য ২৫ শে মার্চ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে টার্গেট করা হয়। এ পরিকল্পনার চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করা হয় ১৪ ডিসেম্বর। তারা এদেশেরই কিছু মানুষকে ব্যবহার করে এ হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যারা দেখেছেন, তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ একটি বাস্তবতা। আর যারা দেখেনি, তাদের কাছে এটি গল্পকাহিনী মাত্র। এজন্য নতুন প্রজম্মকে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা উপলব্ধি করার জন্য তাদের চিন্তন শক্তির উন্নতি করতে হবে।’  

এসময় তিনি যুদ্ধাপরাধী এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। 

অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী, শহীদ অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমেদের ছোট বোন ড. সাজেদা বানু এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির নেতাকর্মীরা।