বারিধারায় হিজবুত তাহরীরের এক সদস্য আটক





৬৬৬রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সদস্য মো. মেহেদি মাসনাত সাইমুমকে (২৭) আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)। শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে তাকে আটক করা হয় বলে র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম জানিয়েছেন।

র‌্যাব জানায়, আটকের সময় সাইমুমের কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি পেনড্রাইভ, জঙ্গি সংক্রান্ত ৭টি লিফলেট, সরকারবিরোধী পোস্টার ৬টি, জঙ্গি কার্যক্রম সংক্রান্ত ৩টি হ্যান্ডবুকের ফটোকপি ও ৫টি জঙ্গি সংক্রান্ত বই উদ্ধার করা হয়।
কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, বারিধারায় আসামি সাইমুমের বাসায় (ডিওএইচএসের ৩ নম্বর রোডের ২৪০ নম্বর বাসার ষষ্ঠতলা) বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা যেসব পোস্টার পাওয়া গেছে, ঠিক একই ধরনের পোস্টার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও দেখা গেছে। এসব পোস্টার তৈরির পরিকল্পনাকারী সাইমুম। এ কাজে অন্যান্য যারা জড়িত আছে তাদের গ্রেফতারেও র্যা বের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আটক সাইমুম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের একজন সক্রিয় সদস্য। সে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবি থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করে বেলী গ্রুপ নামের একটি কোম্পানিতে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে কাজ করছে। তার গ্রুপে তাইসির, সিয়াম, আসিফ, আরাফাত, রিয়াদ ও নূরসহ আরও কয়েকজন রয়েছে। প্রায় সময় তারা সবাই একত্রিত হয়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে চাঙা করার জন্য গুলশান আজাদ মসজিদ, মোহাম্মদপুরের আল-আমিন মসজিদে ও তাইসিরের বাসায় হালাকায় (আলোচনা সভা) বসতো। এ সময় তাদের সহযোগী পলাতক এহসান জামিলসহ সংগঠনের আরও অনেকের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং সবাই মিলে জঙ্গি সংগঠনের কাজে নিয়োজিত থাকতো।
র‌্যারে এই কর্মকর্তা আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সাইমুম কাছ থেকে জানা গেছে, পলাতক আসামি এহসান জামিল রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের আমির। সে ২০০৭-৮ সালে মোহাম্মপুরের লিঙ্কস কোচিংয়ে চাকরি করতো। হিজবুত তাহরিরের সদস্য সিয়াম আগে একবার গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়েছিল। পরে সে জামিনে বের হওয়ার পর সাইমুমের সঙ্গে সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে ২৩ বার আলোচনা হয়েছিল বলে সে স্বীকার করে।
আটক আসামি সাইমুমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।