নাইকো দুর্নীতি মামলা

অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চাইলেন আসামি ইউছুফ হোসাইন

আদালত‘আমার পেনশনের টাকা স্থগিত করে রাখা হয়েছে। আমার সন্তানদের লেখাপড়া করাতে কষ্ট হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছে। আমি এ মামলা থেকে অব্যাহতি চাই।’ নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযুক্ত আসামি সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন এ অভিযোগ করেছেন। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি চান।
শুনানিতে তার পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিল না। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তার অভিযোগ গঠন শুনানি তিনি নিজেই করেন। তিনি বলেন, ‘এ মামলায় আমার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের আসামি না করে আমাকে আসামি করা হয়েছে। তৎকালীন সময় আমার ওপরের পদে যারা ছিলেন তারা অবসরে গেলেন। আর মাঝখানে আমাকে আসামি করা হয়েছে।’
এর আগে এই মামলার অপর অভিযুক্ত আসামি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে আনা হয় ১২ টা ২২ মিনিটে। আদালতের কার্যক্রম চলে দুপুর ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। প্রায় দেড় ঘণ্টা আদালতের কার্যক্রম চলার সময় খালেদা জিয়া হুইল চেয়ারে বসে ছিলেন। আদালতের কার্যক্রম শেষে ১টা ৫৫ মিনিটে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে, এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম সাহেদুর রহমান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক এমপি এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।