কুর্মিটোলায় দুই শিক্ষার্থী নিহত মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি

আদালতরাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি রবিবার (১৩ জানুয়ারি)। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন আদালতে কোনও সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৩৫ সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।
মামলার আসামিরা হলেন, জাবালে নূর পরিবহনের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, হেলপার মো. এনায়েত হোসেন, চালক মো. জোবায়ের সুমন, অপর বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. আসাদ কাজী। তাদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মো. আসাদ কাজী পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর, আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করা হয় আদালতে। গত ৬ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরীফুল ইসলাম এ মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। চার্জশিটে ৪১ জনকে সাক্ষী এবং ছয় ধরনের আলামত জব্দ দেখানো হয়। আলামতের মধ্যে রয়েছে তিনটি বাস এবং তিনটি ড্রাইভিং লাইসেন্স।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ জুলাই কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিল। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় ফ্লাইওভারের মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতির জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে যেতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওই ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত শিক্ষার্থী মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।