নৌ অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী নাজমুলকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

এস এম নাজমুল হক (সংগৃহীত ছবি)পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নৌপরিবহন অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার ড. এস এম নাজমুল হকের জামিন বাতিল করে তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মো. মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। এছাড়াও দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুন্নেছা রত্না।
২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইন্সের মালিক জালাল উদ্দিন নৌপরিবহন অধিদফতরের অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশের (আইএসও ২৯৭৬) ৫(ক) অনুযায়ী নৌযানের নকশা জমা দেন। অধ্যাদেশ অনুসারে নকশা জমা হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ তা অনুমোদন দিতে হয়। কিন্তু নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার ড. এস এম নাজমুল হক ওই নৌযানের নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তি দিতে মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইন্সের মালিক পক্ষের কাছে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ চান।

পরে মালিক পক্ষ বাধ্য হয়ে আসামির দাবি করা ১৫ লাখ টাকার মধ্যে ৫ লাখ টাকা দেয়। এরপর বাকি টাকার জন্য চাপাচাপি করলে মালিক পক্ষ দুদককে বিষয়টি অবহিত করে।

এরপর দুদকের ফাঁদে ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল ৫ লাখ টাকা ঘুষসহ হাতেনাতে গ্রেফতার হন নাজমুল হক। পরে গত বছরের ১২ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন জজ আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে জামিন দেন। কিন্তু সেই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক রিভিশন আবেদন করলে নাজমুল হকের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট গত ২২ অক্টোবর রুল জারি করেন। এরপর শুনানি শেষে রুল যথাযথ করে আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত।