অভিযানের সময় এই ১০টি হাসপাতালের ২৩০ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৯২ জন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার প্রমাণ মিলেছে। যেসব চিকিৎসককে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাওয়া যায়নি, তাদের চিঠি দেবে দুদক।
ঢাকায় অভিযান চালানো হাসপাতালগুলো হলো—ফুলবাড়ীয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, নাজিরা বাজারের মা ও শিশু সদন এবং মুগদা জেনারেল হাসপাতাল।
অভিযানের সময় মুগদা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের সময় আবু মুসা ভূঁইয়া নামে এক স্ট্রেচার বেয়ারারকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক ডিজি মুহাম্মদ মুনির চৌধুরী।
ঢাকার বাইরে যেসব হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়েছে— রংপুরের পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দিনাজপুর সদর হাসপাতাল, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাবনা সদর হাসপাতাল এবং আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
অভিযানের বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকদের নৈতিক অবক্ষয় চরম রূপ নিয়েছে।’ আপাতত কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও পরবর্তী সময়ে একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হলে গ্রেফতার করা হবে এবং দোষীদের চাকরি হারাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অভিযানের সময় যাদের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাওয়া যায়নি, তাদের চিঠি দেবে দুদক।