‘টাকা চাইতে গিয়ে’ পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ আটক ১৭

আটক

পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনসহ ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, আটককৃতরা পল্টনে একটি বহুতল ভবনের ভেতরে তুহিন নামে এক ব্যক্তির কাছে টাকা দাবি করেছিলেন।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম।

এসআই রেজাউল করিম বলেন, ‘পল্টন আযাদ প্রডাক্টস ভবনের একটি অফিসে তুহিন নামে এক ব্যক্তির কাছে টাকা চেয়েছিল শেখ নাজমুল হোসাইন মিরন। সে দাবি করেছে, তুহিনের কাছে টাকা পায়। এ নিয়ে সেখানে ঝামেলা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের ১৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। এখন তারা থানায় রয়েছে। তবে এখনও কোনও মামলা হয়নি।’

আযাদ প্রডাক্টস ভবনে অভিযানে যাওয়া অন্য এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘তুহিন নামে এক ব্যক্তিকে তারা (মিরন ও তার সহযোগীরা) মারধর করেছে। এ সময় খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যাওয়ার পর তারা পুলিশেরও ওপরও চড়াও হয়। এরপর পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ তাদের মারামারি করতে দেখে। এ সময় মিরন ও তুহিনের পক্ষের ১৭ জনকে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ।’

তিনি আরও জানান, আযাদ প্রডাক্টস বিল্ডিংয়ের ১৮ তলায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানে দৈনিক ভোরের চেতনা ও বিশ্বাস ট্রেডার্স নামে দু’টি অফিস রয়েছে।

এদিকে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পল্টন থানা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, বিশ্বাস ট্রেডার্স ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে তুহিনের, যিনি বিভিন্ন লোককে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন। তুষার নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন তুহিন। সেই টাকা আদায় করতে তুষার ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে যান। তার টাকা উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। তখন মারধরের ঘটনা ঘটে।

পল্টনের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। এতে ১৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার শিবলী নোমান।