অনুবাদে সক্ষম ব্যক্তিদের মূল্য দিতে হবে: অদিতি ফাল্গুনী

অদিতি ফাল্গুনীলেখক ও গবেষক অদিতি ফাল্গুনী বলেছেন, ‘তুরস্ক, জাপানের সাহিত্য ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হচ্ছে। কারণ, জাপানের অর্থনীতি শক্তিশালী। অন্যদিকে, তুরস্ক কিংবা আফগানিস্তানের নারীদের কবিতা অনূদিত হওয়ার পেছনে ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বসহ নানা ধরনের বিষয় আছে। এক্ষেত্রে বাংলা ভাষা বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের অনুবাদে সক্ষম ব্যক্তিদের মূল্য দিতে হবে।’
দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষা’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে শুরু হয় সাপ্তাহিক এই আয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে খুব স্বল্পসংখ্যক মানুষ ফরাসি বা জার্মান ভাষা জানেন। এছাড়া মাদ্রাসার অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা আরবি, ফারসি, উর্দু  আধুনিকটা না হলেও জানে। তাদের দিয়ে অনুবাদকের জায়গা পূরণ করা যায় কিনা, এই প্রস্তাব আমি আমার চাকরির সময় রেখেছিলাম। বাংলা একাডেমি একটি বড় প্রতিষ্ঠান। কোনও কিছু বাস্তবায়নে অনেক সময় নেয়। রফিক (জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম) স্যারের অনুবাদ সংস্থা করার প্রস্তাব চমৎকার।’           

তিনি আরও বলেন, ‘থাইল্যান্ডের এয়ারপোর্টে গেলে দেখা যায় সেখানে সাধারণ স্তরের কর্মীরাও অল্প ইংরেজি জানে। তবে সব সাইনবোর্ড থাই ভাষায়। ইংরেজিতে  হাতে গোনা কয়েকটি আছে। বাংলা একাডেমিতে আমি দু’বছর কাজ করেছিলাম। সেখানে একবার একটি চাইনিজ দল আসলো। আমি দেখলাম, তাদের মধ্যে একজন মাত্র ইংরেজি জানেন। বাকিরা কেউই ইংরেজি বোঝেন না। তা সত্ত্বেও চীন আজকে পরাশক্তি। কী করে সম্ভব হলো?’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নিচ্ছেন– জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও সলিমুল্লাহ খান, অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাযহারুল ইসলাম এবং বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।

রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা গেছে এ আয়োজন। বৈঠকির সহযোগিতায় রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।