এর আগে রাত ১০ টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী ও হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেন।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদা বলেন, ‘আমি প্রাধ্যক্ষ হিসেবে বলছি, তোমাদের নামে কোনও মামলা হয়নি। আমি আহ্বান করছি তোমরা হলে ফিরে যাও, ঘরে ফিরে যাও।’
এ প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, ‘অভিযোগ হয়েছে, নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েছে। এরপরও আমরা এসেছি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে, আমাদের সঙ্গে আছে জিএস, এজিএস, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ম্যাডাম, প্রক্টর স্যার এসেছেন, আমরা কথা বলবো। আমি বলতে চাই, অভিযোগ থাকবে, দাবি থাকবে। তবে, সেটা যাতে সুশৃঙ্খল হয়, এখানে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমি তোমাদের দাবিগুলো শুনেছি। তোমাদের কয়েকজন প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করবো। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। তোমরা অনশন ভাঙো। তোমাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’
এ সময় অনশনরত দুই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের একজন রাফিয়া সুলতানা এবং অপরজনের নাম প্রমি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচন, হল প্রভোস্টের পদত্যাগ, মামলা প্রত্যাহার ও আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার দাবিতে আমরণ অনশন করছেন রোকেয়া হলের ছয় ছাত্রী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের চারজন প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যেও ছয় শিক্ষার্থী আমরণ অনশন পালন করছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ ঢাবি প্রশাসনের