বনানীর অগ্নিকাণ্ডে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি

01রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের পর প্রকৃত অর্থে কেন এমনটি ঘটলো, কারা দায়ী বা কাদের গাফিলতি ছিল এগুলোর বিশ্লেষণ কখনও হয় না। এসব বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে কী কী ব্যবস্থা ও উপকরণ থাকা উচিত এ প্র্যাকটিস অনেক ক্ষেত্রেই নেই।’

রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল বাতেন বলেন, ‘এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ইতোমধ্যে ফারুক ও তাসভিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজউক, মালিকপক্ষ এবং ডেভেলপার কোম্পানিদের মধ্যে কার কী ভূমিকা ছিল, দেখা হবে। সব অপরাধ পর্যালোচনা করে তদন্ত শেষে তাদের গাফিলতি ও অপরাধ চিহ্নিত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভবন নির্মাণের আগে ও পরে কার কী ভূমিকা ছিল সেসব আমরা তুলে ধরবো। প্রত্যেকটা বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হবে যেন কেউ পার পেয়ে না যায়।’
ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি ভবন নির্মাণে কী কী নীতিমালা রয়েছে, সেগুলো রাজউক নজরদারি করে। যে এই ইন্সপেকশন করে তার দায়-দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি, যে নিয়ম মেনে সেটি করা হয়েছিল কিনা। এছাড়া, ফায়ার সেফটির বিষয়গুলোতে ফায়ার সার্ভিসের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। এ ভবনে কী কী ব্যত্যয় ছিল সেসব শনাক্ত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণত একটি ভবন ব্যবহার উপযোগী করে ডেভেলপার কোম্পানি হস্তান্তর করে থাকে। এফ আর টাওয়ারের ক্ষেত্রে ডেভেলপার কোম্পানি রূপায়ণ অন্য মালিকদের রেজিস্ট্রেশন করে বুঝিয়ে দেয়নি। এক্ষেত্রে ভবনে রূপায়ণেরও মালিকানা রয়েছে।’

অনুমোদন ও নজরদারিতে রাজউকের গাফিলতি থাকতে পারে, অথচ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজউকের কার্যক্রমটি তার অথরিটি নিশ্চিত করবে। কেউ নিয়মবহির্ভূত কোনও কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে দাফতরিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কেউ সরাসরি ক্রিমিনাল অফেন্সে জড়িত থাকলে তদন্তে যদি তাদের নাম আসে, তাহলে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’
মামলার তদন্তে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে ডিবির ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্তে অপরাধ অনুযায়ী সবাইকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে ভবন ভেঙে পড়েনি, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাই ভবনে অগ্নিকাণ্ড ব্যবস্থাপনায় কী কী ঘাটতি ছিল, সেসব বিষয় বিবেচনায় আনা হবে।’
মামলার অন্যতম আরেক আসামি রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।