দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীর শেষ কথা ‘বিচার যেন হয়’

মানববন্ধনফেনীর সেই মাদ্রাাসাছাত্রীকে যারা পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন সামাজিক সংগঠন ‘কর্মজীবী নারী’র সদস্যরা। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত কর্মজীবী নারী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, “লাইফ সা‌র্পো‌টে নেওয়ার আ‌গে ফেনীর দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী তার মা ও ভাই‌কে শেষ কথা হিসেবে বলে‌ছে, ‘তার যা হয় হোক, তার এ অবস্থার জন্য যারা দায়ী তা‌দের যেন বিচার হয়”।’

শিরীন আখতার বলেন, ‘ডাক্তার বলেছে ওই ছাত্রীর ৮৭ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে। একজন মানুষের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পুড়ে গেলেই অসহ্য যন্ত্রণা হয়। তার বে‌ঁচে থাকা অ‌নেক কষ্টকর হ‌য়ে যায়। সেখানে ফেনীর সেই ছাত্রীর ৮৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। সে বেঁচে গেলেও অনেক কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু ও নারীরা নিরাপদ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভিকারুন্নিসা স্কুলের ঘটনা আমরা দেখেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা দে‌খে‌ছি। মাদ্রাসায় কোরআন পড়ানো হয়, ছেলে মেয়েদের আদব কায়দা শেখানো হয়। ধর্মের কথা বলা হয়। বাবা মা তার সন্তা‌নের নিরাপ‌দের কথা চিন্তা ক‌রে মাদ্রাসায় পড়ায়, সে মাদ্রাসায়ও নারীরা নিরাপদ নয়।’

আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টাকারীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি স্কুল-কলেজে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এমনটা কর‌তে হবে যে, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি এরকম আর কোনও ঘটনা ঘটে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানে সব সরকারি সাহায্য ও এমপিওভুক্ত বাতিল করতে হবে। তবে যদি আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন হয়।’

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন কর্মজীবী নারী সংগঠনটির সহ-সভাপতি উম্মে হাসান ঝলমল, নির্বাহী পরিচালক রোকিয়া রফিক, শ্রমিক নেত্রী শাহিনা আক্তার পারভীন।