একাত্তরে রণদা প্রসাদ হত্যা মামলার রায় যেকোনও দিন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়। এই অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি মাহবুবুর রহমানের (৬৯) বিরুদ্ধে যেকোনও দিন রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান বর্তমানে কারাগারে আছেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, একটি ফৌজদারি মামলায় ৬৯ বছর বয়সী মাহবুবুর রহমানকে গত বছর গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরের ৯ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের অধীনে মাহবুবকে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি মাহবুবের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বইরাতিয়া পাড়ায়।

তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুসারে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ মে আসামি মাহবুবুর রহমান অন্যদের সহায়তায় পাকিস্তান বাহিনীর সদস্যরা রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে নারায়ণগঞ্জের সিরাজউদ্দৌলা রোডের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। রণদা প্রসাদ সাহা হলেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গলের প্রতিষ্ঠাতা।

এই আসামির বিরুদ্ধে সাহাপাড়া এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩৩ জন লোককে ধরে নিয়ে হত্যা এবং মির্জাপুর থেকে ২৪ জনকে অপহরণের পর তাদের মধ্যে ২২ জনকে মধুপুরে নিয়ে গিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

তবে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে টাঙ্গাইলের প্রখ্যাত সমাজসেবক রণদা প্রসাদ সাহা হত্যাসহ অপহরণ, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়।