ফিরে আসার বিষয়টি বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
ফিরে আসা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাজ না থাকা, গিয়ে কাজ না পাওয়া, নিয়োগকর্তার নির্যাতন, বেতন না দেওয়া এবং বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। বিভিন্ন দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ধরে আউটপাস দিয়ে শূন্য হাতেই দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। কয়েকজনকে আবার দেশে আসার আগে জেলও খাটতে হয়েছে। দেশে ফিরে এয়ারপোর্টের মেঝেতে বসেই ইফতার করেছেন তারা।
ফিরে আসা এসব কর্মীদের বিমানবন্দরে জরুরি সেবা দিয়েছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। সংস্থাটির প্রোগ্রাম হেড শরিফুল হাসান বলেন, ‘ইফতারের ৪০ মিনিট আগে আমাদের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তারা হঠাৎ জানালো বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আর এপিবিএন জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশ থেকে ২১৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরেছে আউটপাসে, তারা সবাই অভুক্ত। আমরা তাদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ইমিগ্রেশন পুলিশ আর এপিবিএনের সদস্যরা আমাদের সাহায্য করেছেন।’
ফিরে আসা কর্মীদের দুর্দশা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘এই মানুষগুলো কতো আশা নিয়ে বিদেশে গিয়েছিল। আর এখন ফিরলো শূন্য হাতে। যে বিমানবন্দর দিয়ে তারা গেছে রাজার হালে আজ সেই বিমানবন্দরের পাটাতনে পেপারে বসে ইফতার করছে। জানি না এই কষ্টের শেষ কোথায়।’