জাল নথি দিয়ে জামিন লাভের চেষ্টা ইয়াবা মামলার আসামির

সুপ্রিম কোর্ট

প্রায় সাত লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় হওয়া মামলায় জাল নথি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন লাভের চেষ্টা করেছিলেন আসামি মো. সালেহ আহম্মেদ ওরফে সালেহ ওরফে বার্মাইয়া সালেহ। বিষয়টি ধরা পড়ায় তার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার তদবিরকারকসহ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামির পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাহাবুবা হক। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরসেদ।

এর আগে ২০১৫ সালের ২০ জুন ৬ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ সাত লাখ টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব। ঘটনার পরদিন ফেনী মডেল থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় কারাগার থেকে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আসামি মো. সালেহ আহম্মেদ ওরফে সালেহ ওরফে বার্মাইয়া সালেহ।

জামিন আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘আসামি ঘটনার সময় টেকনাফ মডেল থানার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। ফলে ইয়াবা পাচারের মামলায় তার কোনও সম্পৃক্ততা নেই।’

সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরসেদ বলেন, ‘নথিতে যে মামলার কথা বলা হয়েছে ওই মামলায় আসামি জামিনে ছিলেন। কিন্তু আসামিপক্ষ থেকে কারাগারে থাকার যে আদেশের অনুলিপি দাখিল করা হয়েছে তা জাল। ফলে আসামির পক্ষে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিনের চেষ্টা করা হয়েছে।’

পরে আদালত মামলার নথি পর্যালোচনা করে জালিয়াতির সত্যতা পান। তাই আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন।