হলি আর্টিজান মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ মে

হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁরাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার মামলায় চার পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২০ মে) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৭ মে দিন ধার্য করেন।
এ মামলার সাক্ষীরা হলেন, ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, নৌ পুলিশ সদর দফতরের মো. সোহাগ খন্দকার এবং মিরপুর ১৪ নং পুলিশ ক্যাম্পের প্রদীপ চন্দ্র দাস। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার রুহুল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
এ পর্যন্ত মামলাটির ৪১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মামলাটির সিএমএম আদালতের জিআর শাখায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানের সময় এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
অভিযোগপত্রে আট আসামি হলেন, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। তাদের মধ্যে পলাতক রয়েছে মামুনুর রশিদ। বাকি সাতজন কারাগারে আছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।