শপিংমলগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার




দুস্থদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিচ্ছেন ডিএমপি কমিশনারঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর শপিংমলগুলোতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বনানী ও উত্তরায় অসহায় এবং দুঃস্থ মানুষদের ঈদবস্ত্র উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।



শপিংমল ছাড়াও পুরো রাজধানী জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তার কারণে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের উল্লেখযোগ্য কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেছেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রমজানের ১৭ দিনে রাজধানীতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টির মতো উল্লেখযোগ্য কোনও অপরাধ সংঘটিত হয়নি। মানুষ নিরাপদে গভীর রাত পর্যন্ত ঈদ কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরতে পারছে। কারণ আমরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। ঈদকে সামনে রেখে জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সবধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আপনারা যদি পুলিশকে সহযোগিতা করেন তাহলে আপনাদের ভালো রাখতে, নিরাপদে রাখতে আমরা আরও অনেক ভালো কাজ করতে পারবো।’

এর আগে বনানী ও উত্তরা এলাকায় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মধ্যে মোট ৩৫০০ পিস (শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও ছোট বাচ্চাদের পোশাক) ঈদবস্ত্র বিতরণ করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান ও উত্তরা বিভাগ ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

‘ঈদ আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক’ এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে উপস্থিতদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, আপনাদের ভালোবাসি বলে আমরা ঈদবস্ত্র ও শীতবস্ত্র নিয়ে সবসময় হাজির হই। এটি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা। এই সমাজের মানুষকে ভালো রাখা, নিরাপদে রাখা আমাদের কাজ। ঈদে আমার সন্তানরা নতুন কাপড় পরবে, আর আপনারা নতুন কাপড় পরতে পারবেন না, তা হবে না। ঈদ মানে আনন্দ আর এই আনন্দ আমরা সবাই ভাগ করে নেবো।

তিনি এসময় আরও বলেন, ‘মাদক আমাদের সবার শত্রু। দেশ, সমাজ ও পরিবারকে বাঁচাতে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আপনার চারপাশে যদি কোনও মাদক ব্যবসায়ী থাকে তাহলে পুলিশকে নির্ভয়ে তথ্য দিন। মাদকের ভয়াবহতা থেকে আপনার পরিবার ও সন্তানকে রক্ষা করুন।’

ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (প্রটেকশন) মো. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশন) মো. মনির হোসেন, গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাক আহমেদ খান, উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবালসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।