ভূমধ্যসাগরে নিহতদের পরিবারকে ৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট




তিউনিসিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে মোট ৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত পাচার সংক্রান্ত ঘটনা তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এছাড়া রিটে প্রতারক ট্র্যাভেল এজেন্সি ও মানবপাচার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০১২ সালের মানবপাচার দমন আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ এমদাদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। তিনি বলেন, বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের ওপর মঙ্গলবার (১৮ জুন) শুনানি হতে পারে।

রিটে প্রতারক ট্র্যাভেল এজেন্সি ও মানবপাচার চক্রকে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সিলেট ও নোয়াখালীর এসপিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে প্রতারক ট্র্যাভেল এজেন্সি ও মানবপাচার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারিরও আরজি জানানো হয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, সিলেট ও নোয়াখালীর এসপিকে বিবাদী করা হয়েছে।

পরে আইনজীবী মোহাম্মদ এমদাদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, গত ৯ মে ভূমধ্যসাগরে তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওইসব প্রতিবেদনে প্রতারক ট্র্যাভেল এজেন্সি, ১৫ পাচার চক্র ও নোয়াখালীর তিন ভাই অবৈধভাবে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে। এরপর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের বরাবর আইনি নোটিশ পাঠাই। কিন্তু নোটিশের কোনও জবাব না পেয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট দায়ের করি।