ধর্মীয় বৈষম্য নিরসনে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি

বক্তব্য রাখছেন রাণা দাশগুপ্তবিগত চার দশকের অব্যাহত ধর্মীয় বৈষম্য নিরসনে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে ন্যূনতম দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এছাড়া, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘোষিত ২০০ কোটি টাকা অনতিবিলম্বে ছাড় দেওয়ারসহ ছয়টি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

রবিবার (২৩ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের প্রাক্কালে ঐক্য পরিষদ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেটের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান বৈষম্য অবসানে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানায়। পরবর্তীতে বাজেট অধিবেশন চলাকালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ-মন্দির সংস্কার ও উন্নয়নের জন্যে ২০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু অনুমোদিত বাজেটে এর কোনও উল্লেখ ছিল না। ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও বাজেটে ঘোষিত বরাদ্দ অর্থের বিপরীতে কোনও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়নি। অতি সম্প্রতি উক্ত ২০০ কোটি টাকার মধ্যে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ের জন্যে কয়েকটি জেলায় হিন্দু মন্দির চিহ্নিত করা হলেও কোনও টাকা ছাড় হয়নি। এ থেকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রীয় অবজ্ঞা, অবহেলা আজও সুস্পষ্ট। বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্যে কোনও থোক বরাদ্দের ঘোষণা আজও আসেনি।’

বিগত চার দশকের অব্যাহত ধর্মীয় বৈষম্য নিরসনকল্পে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে ন্যূনতম দুই হাজার কোটি টাকা, তীর্থ ভ্রমণের জন্যে ১০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দের পাশাপাশি বিদ্যমান কল্যাণ ট্রাস্টগুলোকে বাতিল করে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘোষিত ২০০ কোটি টাকা অনতিবিলম্বে ছাড়সহ মোট ছয়টি দাবি জানান তিনি।