দুদকের নাম যারা ভাঙায় তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন: ইকবাল মাহমুদ


ইকবাল মাহমুদ (ফাইল ছবি)

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নাম যারা ভাঙিয়ে দুর্নীতি করে তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। রবিবার (২৩ জুন) বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ‘লন্ডন প্রবাসী দয়াছের অডিও সংলাপে দুদকের ওরা কারা?’ শিরোনামের রিপোর্ট নিয়ে সোমবার (২৪ জুন) বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান তিনি। বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যানের টেলিফোনে হওয়া কথোপকথনটি হুবহু এখানে তুলে ধরা হলো।

দুদক চেয়ারম্যান: বাংলা ট্রিবিউন অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনারা যে এগুলা পাবলিশড করেন, আপনারা নিউজ করেন, দ্যাটস গুড। কিন্তু নিউজের পেছনে যে কথা ছিল, সেগুলা দেন না কেন? আমরা যে ৮/৯ বার সতর্ক করেছি মানুষকে, সেটা দেন নাই কেন? হোয়াই? আপনাদের উচিত ছিল। ইউ শ্যুড হ্যাভ ডান ইট। ইউ ডিলিং উইথ দ্যা ইনস্টিটিউশন...ইট ইজ নট অ্যা ইনডিভিজ্যুয়াল। এমন কোনও হেডলাইন দিয়েন না যাতে নিউজটা ফেক হয়। যে হেডলাইন বাংলা ট্রিবিউন করেছে কথোপকথনে, সে রকম কিছু দেখি নাই। দিস ইজ ভেরি আনফেয়ার। অ্যাজ এ জার্নালিস্ট ইউ শ্যুড মেইনটেইন ইথিক্স। আপনারা জানেন যে আমরা ৮ বার বলেছি। এখন যদি আপনি আমার নামে বলেন আমি কী করতে পারি?

বাংলা ট্রিবিউন: আপনাকে কিন্তু দোষারোপ করা হয়নি।

দুদক চেয়ারম্যান: দোষারোপের জন্য না। দোষারোপ ইস্যু না। বিষয়টা হলো কোশ্চেন অব ইনস্টিটিউশন। ইনস্টিটিউশন আপনারও, আমারও। দেশের মানুষেরও। আপনি আমাকে ম্যালাইন করতে পারেন, ইনস্টিটিউশনকে পারেন না। ৩৫ বছর চাকরি করে এসেছি। বহু লোকের সঙ্গে পরিচয় আছে। এখন আপনার সঙ্গে হয়তো আমার পরিচয় নাই। বাট আই মেট লট অব পিপল। সো, কেউ যদি আমার নাম ভাঙায় কী করার আছে। কেউ তো আমাকে জিজ্ঞাসা করেন নাই, আমাকে টাকাও দেন নাই।

বাংলা ট্রিবিউন: দুদক চেয়ারম্যানকে টাকা দেওয়া হয়েছে বা তিনি নিয়েছেন, এমন কিছু রিপোর্টে উল্লেখ নেই।

দুদক চেয়ারম্যান: কিন্তু আমার নাম তো মিসইউজ করছে, তাই না? এই বক্তব্য দেওয়ার আগে আমার সাথে কথা বলা উচিত ছিল।

বাংলা ট্রিবিউন: রিপোর্টে আপনার বক্তব্য আছে। সেখানে লেখা হয়েছে, দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ রবিবার (২৩ জুন) বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘আব্দুল দয়াছকে চেনেন তিনি। তবে দুদকের কোনও অনুসন্ধান বা তদন্তের বিষয়ে দয়াছের সঙ্গে কখনও আলোচনা হয়নি। আর দুদকে তার বিষয়ে কেউ কখনও অভিযোগও করেননি।’

দুদক চেয়ারম্যান: দেখি নাই। দুদক চেয়ারম্যান বা দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্মীয়-স্বজন পরিচয়ে কেউ টাকা দাবি করলে, ঘুষ চাইলে, অনুসন্ধান ও তদন্তে নিষ্কৃতি পাইয়ে দেওয়ার কথা বললে প্রভাবিত না হয়ে সরাসরি দুদকে যোগাযোগের সার্কুলারের কথাও উল্লেখ করা উচিত ছিল আপনাদের। সেটা করেন নাই। ইউ আর ওয়ান অব দ্য পার্ট অব ইনস্টিটিউশন। আমি থাকবো না। বাট, দেশ তো থাকবে, ইনস্টিটিউশন থাকবে। ইউ শ্যুড প্রোটেক্ট ইনস্টিটিউশন। আমাদের এক চেয়ারম্যানের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, আপনি জানেন সেটা?

বাংলা ট্রিবিউন: জানা নেই।

দুদক চেয়ারম্যান: রিপোর্ট করার আগে অবশ্যই এসব আপনার জানা উচিত ছিল।

বাংলা ট্রিবিউন: দুদকে অনেকেই তো কথা বলতে চান না।

দুদক চেয়ারম্যান: আমি তো আপনাদের সাথে কথা বলি। আমি সোজা কথা বুঝি, আমি আমার কাজ করছি। কারও ধমকে, কারও নির্দেশে, কারও ইমোশনে আমি ইকবাল মাহমুদ কাজ করি না।