রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ চারজনকে কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ




হাইকোর্ট

ঢাকার অফিসে বসে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্থাপিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস চ্যান্সেলরসহ চারজনকে ছয় মাস সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে ঢাকার অফিসে কার্যক্রম না চালিয়ে শাহজাদপুরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। 

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার ( ২৬ জুন) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এসব আদেশ দেন। 

একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপন ছাড়া তাদের কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ও রেজিস্ট্রারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 




আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম ছোটন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

রিট আবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইন পাস হয়। আইনের ১(২) ধারায় বলা হয়েছে- সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হবে।

কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারির আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিত ঘোষকে ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর তার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। একইবছর ২৮ মার্চ সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং চলতি বছর ১১ মার্চ শিক্ষক নিয়োগে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ঢাকার ধানমন্ডিতে স্থাপিত লিঁয়াজো অফিসের ঠিকানায় এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পরে গত ৯ এপ্রিল শাহজাদপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ড. মো. জামিনুর রহমান নিয়োগে অনিয়ম তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বরাবরে একটি আবেদন জানান। তবে ওই আবেদনের পরেও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় জামিনুর রহমান সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রজ্ঞাপন ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা এবং তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।