তিনি একটি চাকরি চান





চারকির প্রত্যাশায় আমরণ অনশনে চাঁদের কণা৯ মাস বয়সে পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে পা দুটির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। চলাফেরা করতে হয় হাতের ওপর ভর করে। তবু হার মানেননি সিরাজগঞ্জের চাঁদের কণা। ইডেন কলেজ থেকে ২০১৩ সালে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে মাস্টার্স শেষ করেন।
কবিতা লেখেন। টিভি-রেডিওতে সংবাদ পাঠ, টিভি অনুষ্ঠান গ্রন্থনা, উপস্থাপনা ও পরিচালনাও করেছেন। কম্পিউটারের ওপর দখল আছে। তবু ভালো একটি চাকরি জোটেনি। চাকরির আশায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চান। এ জন্য রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘আমরণ অনশনে’ বসেছেন।
চাঁদের কণা মনে করেন, বয়স ও কর্মক্ষমতার কথা বিবেচনা করে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই পারেন তার জন্য একটি চাকরির ব্যবস্থা করতে।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা গেলো, হুইলচেয়ারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি হাতে নিয়ে বসে আছেন চাঁদের কণা।
বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘অনেকভাবে চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি হচ্ছে না। আমাদের মতো শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য কম বেতনের চাকরি পাওয়া যায়।’
চাঁদের কণা বলেন, “যে অফিসেই যাই তারাই বলে, ‘আপনাকে দিয়ে তো ডেস্ক জব ছাড়া কিছু হবে না।’ অথচ আমি ৩ বছর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সহকারী প্রোগ্রাম প্রডিউসার হিসেবে করছি। আমাকে শুটিং পর্যন্ত করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, হাজারো কষ্ট আর আর্থিক অনটন সত্ত্বেও হাতের ওপর ভর দিয়ে এতটা পথ এসেছেন একটি সরকারি চাকরির আশায়। জীবনের শেষ দিনগুলো নিশ্চিন্তে থাকতে চান। আত্মনির্ভরশীল হয়ে বাঁচতে চান।
চাঁদের কণা জানান, পৈত্রিক সম্পত্তি নেই। মা হাসনা হেনা শিক্ষিকা ছিলেন। মারা গেছেন। তার পেনশনের টাকায় কোনোরকমে পরিবার চলে। বাবা ব্রেইন স্ট্রোক করে বিছানায় পড়ে আছেন। তার একটি চাকরি খুব দরকার‌।