বরখাস্ত দুদক পরিচালক বাছিরের পদে নতুন নিয়োগে বাধা নেই




খন্দকার এনামুল বাছিরঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের পদোন্নতির জন্য মহাপরিচালক পদ খালি রাখার আদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। 
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও মোহাম্মাদ আলীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে এই পদে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ বা পদোন্নতিতে দুদকের আর বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাছিরের জন্য দুদকের মহাপরিচালক পদ খালি রাখার আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। এরপর দুদকের আবেদনের শুনানিতে আদালত আগের আদেশ প্রত্যাহার করে নিলেন।
এর আগে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কাছে তদন্তের তথ্য ফাঁস করায় বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত ১০ জুন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ তথ্য জানান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় কমিশনের সচিব দিলওয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছর নারী নির্যাতনসহ একাধিখ অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে। এরপর তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রকাশ হওয়ায় তদন্ত শুরু করে দুদক। এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন বাছির। তবে তদন্ত চলার সময় পাওয়া তথ্য অভিযুক্তের কাছে ফাঁস করে আপসরফার মাধ্যমে দুই দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন তিনি। ডিআইজি মিজান নিজেই এমন অভিযোগ করেন বাছিরের বিরুদ্ধে।