পরিবেশ দূষণের দায়ে সাত কারখানা বন্ধ

পরিবেশ অধিদফতরের অভিযানরাজধানীর উত্তর বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকার ছয়টি ওয়াশিং ও একটি প্লাস্টিক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। বুধবার (১৭ জুলাই) অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসী এ অভিযান পরিচালনা করেন।

রুবিনা ফেরদৌসী জানান, অভিযানে আশরাফ ওয়াশিং প্লান্ট, প্রাইম ওয়াশিং প্লান্ট, মায়ের দোয়া ওয়াশিং প্লান্ট, স্টার ওয়াশিং (দি শাহীন ডিজাইন), সুমনের ওয়াশিং প্লান্ট, শাইনিং ওয়াশিং প্লান্ট এবং তেজো প্লাস্টিক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবেশের ক্ষতি করায় কারখানা মালিকদের আগামী ২১ জুলাই পরিবেশ অধিদফতরে মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ে শুনানির জন্য হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

রুবিনা ফেরদেীসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাতারকুলে ওয়াশিং কারখানাগুলো পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও ইটিপি নির্মাণ না করে কারখানার উৎপাদিত অপরিশোধিত তরল বর্জ্য খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করছে। পরিবেশ অধিদফতর এসব কারখানা কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার পরিবেশ দূষণের দায়ে ক্ষতিপূরণ ধার্য্য করে সতর্ক করে এবং তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) নির্মাণ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু, বারবার তাগিদ দেওয়া পর কারখানা মালিকরা ইটিপি কার্যকর না করে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ছাড়াই কারখানা পরিচালনা করতে থাকেন এবং দূষণ অব্যাহত রাখে। তাই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকছুদুল ইসলাম ও আসিফ শরীফ রহমান, উপপরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী পরিচালক সালমান চৌধুরী শাওন, পরিদর্শক মো. মির্জা আসাদুল কিবরীয়া ও পরিবেশ অধিদফতরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন রাজিব উপস্থিত ছিলেন।