১২.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্বাসযোগ্য মনে করে

দেশের মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮২.৫ শতাংশ সামাজিক মাধ্যমে সংবাদ পড়ে ও শেয়ার করে। শুধুমাত্র ১২.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন গণমাধ্যমের সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্যমনে করে। ২৭.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনও সংবাদ পাওয়ার পর সেটি আবারও যাচাই করে দেখে।  সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) পরিচালিত ‘প্রোমোটিং মিডিয়া লিটারেসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পর্যায়ে গণমাধ্যম সাক্ষরতা যাচাই বিষয়ে গবেষণায় এই তথ্য উঠে আসে।

বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়- দেশের ৮টি বিভাগের ২৪টি জেলার ১৬টি বিদ্যালয় ও ৮টি মাদ্রাসায় (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি) এই জরিপ চালানো হয়। সেখানে অংশগ্রহণ করে ২৪শ’ শিক্ষার্থী এবং ৪২জন শিক্ষক ও অভিভাবক।

ফলাফলে পাওয়া যায়, দেশের ৬১.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেটসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। জরিপকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬১.৪ শতাংশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে, যেখানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর হার ৪৫.৪ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হার ৬৯.২ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেছেন, ‘আমাদের জীবনের জন্যই প্রযুক্তি প্রয়োজন, আর প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন গণমাধ্যম।’

সাকমিডের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নজর-ই জিলানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ লুৎফর রহমান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের হেড অব এডুকেশন মুরশিদ আখতার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) মিডিয়া স্টাডিজ ও জার্নালিজম বিভাগের প্রধান ড. জুড উইলিয়াম হ্যানিলো, সাকমিড প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আফিয়া সুলতানা।