দুই সপ্তাহ আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর অঞ্চলের শ্যামপুর ও জুরাইন এলাকায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে ঢাকায় আসেন তপন কুমার মণ্ডল।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারাদেশ থেকে ১২৬ জন স্বাস্থ্য সহকারীকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়। গত ২৯ জুলাই মাদারীপুর সদর উপজেলা থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সাত জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাদেরই একজন তপন কুমার মণ্ডল।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঈদের কয়েকদিন আগে তপন কুমার অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঈদের আগের দিন অসুস্থ অবস্থায় দেশের বাড়ি যান। সেখানে ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে দ্রুত তাকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ( ১৫ আগস্ট) মারা যান তিনি। গত বুধবার (১৪ আগস্ট) থেকে তিনি হাসপাতালটির আইসিইউতে ছিলেন।
ডা. সবুর মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তপন কুমার মণ্ডল আমাদের হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন।’
তপন কুমার মণ্ডল মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের বড়াইলবাড়ি গ্রামের যদুনাথ মণ্ডলের ছেলে। তার স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী ছেলে ও সাত মাস বয়সী এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।