ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের পরিচালককে হাইকোর্টে তলব

হাইকোর্ট

আদালতের নির্দেশের পর ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে হটলাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এজন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের ব্যয় বাবদ ৫০ লাখ টাকা চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠায় তারা। তবে এই চিঠির বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের (ডিএনসিআরপি) পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ) শামীম আল মামুনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে আগামী ২৭ আগস্ট তাকে সশরীরে হাজির হয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি।

এর আগে গত ১৬ জুন ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় ও ভোক্তাদের অভিযোগ শুনতে দুই মাসের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে হটলাইন চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের পর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি হটলাইন চালুর ব্যয় বাবদ ৫০ লাখ টাকা চেয়ে গত ১৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মামলাটির অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারণ ছিল। এদিন হটলাইন চালুর ব্যয় সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করা হলে এর ব্যাখ্যা দিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে তলব করতে চান। কিন্তু তিনি হজ পালনের উদ্দেশে দেশের বাইরে থাকায় অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ) শামীম আল  মামুনকে তলব করলেন হাইকোর্ট।  

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে ও ৪ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসটিআই সম্প্রতি ২৭ ধরনের ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ৫২টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিম্নমানের ও ভেজাল রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ রিপোর্ট প্রকাশ করে বিএসটিআই।

পরে এক রিটের শুনানি নিয়ে গত ১২ মে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় প্রমাণিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে এই নির্দেশ পালন করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন আদালত।